ইন্দ্রনীল বর্তমানে বাঁকুড়া শহরের সুকান্ত পল্লীর বাসিন্দা।যদিও তার গ্রামের বাড়ি বাঁকুড়ার সানাবাঁধ গ্রামে।তার স্কুল জীবন পূর্ব মেদিনীপুরে কেটেছে।তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক। ২০০৯ সালে টালিগঞ্জ আই টি আই কলেজে যোগ দেন। দুর্গাপুর আই টি আই কলেজে আসেন ২০১৮ সালে।তিনি স্কিল ইন্ডিয়া মিশনের ও পাঠ্যক্রম তৈরি করেন।ইন্দ্রনীল জানান কারিগরী শিক্ষার পাঠ্যক্রম সবসময়ই অত্যাধুনিক হতে হবে।কারন প্রযুক্তির জগত সবসময়ই এগিয়ে যাচ্ছে। ইন্দ্রনীল বলেন এই কলেজে ছাত্র ছাত্রীদের অত্যাধুনিক কারিগরী ও প্রযুক্তির শিক্ষা দেওয়া হয় বলেই তারা ভারতের নামি দামি গাড়ি কোম্পানি গুলিতে ও রেলে প্রচুর নিয়োগ পেয়েছে।আমাদের কলেজের ডেপুটি ডিরেক্টর অরিন্দম আচার্য্যর নেতৃত্বে, উনার সম্পূর্ণ সহযোগিতায়, উদ্দ্যমে আমাদের এই সাফল্য।এর আগে এই কলেজ থেকে রমেশ রক্ষিত জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার পেয়েছেন। এবছর আমি ও সুকান্ত কোনার এই পুরস্কার পাচ্ছি।আমাদের কলেজের এটা একটা বড় সাফল্য। ইন্দ্রনীলের সহকর্মী বড়জোড়ার সুদীপ রঞ্জন ঘোষ বলেন আমরা ওনার জন্য গর্বিত। ইন্দ্রনীলের বহুমুখী প্রতীভা আছে।ছাত্র ছাত্রীদের কাছে উনি ভীষণ প্রিয়।ইন্দ্রনীল মা,স্ত্রী,কন্যা সহ যৌথ পরিবারের সদস্য।
তবে অতি সম্প্রতি ইন্দ্রনীলের নাম চর্চায় এসেছিল তার অভিনিত স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি অনর্থ র জন্য। এই ছবির গানের সুরকার ও তিনি।এই ছবিটি দেশ বিদেশের ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল গুলিতে বহু পুরষ্কার পেয়েছে।
তিনি বাঁকুড়ার একজন চেনা নাট্য ব্যক্তিত্ব।
ইন্দ্রনীল মনে করেন সঠিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারলে সরকারি বেসরকারি সংস্থায় প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে।ওই কলেজের জাতীয় শিক্ষক (২০২৩) রমেশ রক্ষিত বলেন আমি ইন্দ্রনীল ও সুকান্তকে উৎসাহ দিয়েছিলাম।ওনারা যেভাবে কাজ করেন তাতে ওনারা দেশের কাছে উদাহরণ। এটা আমাদের কলেজের বড় গর্বের দিন।

