মেজিয়ায় পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ

Malay Singha
0

স্কাই বাংলা, বাঁকুড়া: পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই নখের আঁচড়ে উঠে আসছে রাস্তায় ব্যবহৃত পিচের চাঙর। বাঁকুড়ার মেজিয়ার রানীপুর গ্রামের এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ কানে আসতেই রাস্তার হাল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি।
বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের মুরগাবনী রেল লাইন থেকে রানীপুর, মুকুন্দপুর গ্রাম হয়ে বেনাগাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৯৪ লক্ষেরও বেশি টাকা বরাদ্দ হয় পথশ্রী প্রকল্পে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাস্তার কাজও শুরু হয়। সম্প্রতি রাস্তাটি তৈরি হতে না হতেই তা দেখে রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। এলাকার মানুষের দাবী আঙ্গুলের চাপে উঠে আসছে রাস্তায় ব্যবহৃত পিচের আস্তরণ। রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও পায়ের চাপে ফেটে যাচ্ছে পিচ। আর স্থানীয়দের অভিযোগের কথা কানে আসতেই শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক চন্দনা বাউরী। রাস্তার হাল দেখে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনিও।
বিধায়কের অভিযোগ শাসক দলের পদাধিকারীরা ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অংকের কাঠমানি নেওয়ার ফলেই বাধ্য হয়ে ঠিকাদার ওই রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে। বিধায়কের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিংকি ব্যানার্জি। তিনি জানান এরকম কোন লিখিত অভিযোগ আমি পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
বরাত প্রাপ্ত ঠিকাদার মৃত্যুঞ্জয় তেওয়ারি যদিও রাস্তাটির এই হালের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। বর্ষার সময় পিচের রাস্তা করার ফলেই এই সমস্যা হয়েছে। রাস্তার যে অংশে এই সমস্যা হয়েছে সেখানে রাস্তাটি পুনঃনির্মাণ করে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ঠিকাদার।
এবিষয়ে মেজিয়া সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শেখ আবদুল্লাহ বললেন 'আমি বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলা প্রশাসনকে জানাবো।'

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top