স্কাই বাংলা ডেস্ক: গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ভালোবাসা সপ্তাহ। আগামী মঙ্গলবার প্রেমদিবস। এই দিনটির জন্য প্রস্তুতিও প্রায় সেরে ফেলেছেন যুগলেরা। এই দিনটায় সকলেই তাঁদের কাছের মানুষকে তাঁর প্রিয় উপহারটা দিয়ে নিজের মনের ভালবাসা জানান দেয়। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি আলিঙ্গন দিবস। একটা নিবিড় আলিঙ্গন অনেকগুলো অব্যক্ত অনুভূতির সমন্বিত প্রকাশ। আনন্দে কিংবা অসহায়ত্বে, ঘৃণায় বা মুগ্ধতায়, হাসিতে বা কান্নায়- জীবনের যেকোনো অবস্থায় প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে অনেক হিসাবই সহজ হয়ে যায়।জীবনের জটিল সমীকরণও মুহূর্তে মিলিয়ে দেয় একটি আলিঙ্গন। আলিঙ্গন ব্যাপারটি আমাদের দৈনন্দিন অনুভূতির সঙ্গে সমান্তরালে বাস করে।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে ধরলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শরীর থেকে অক্সিটোসিন হরমোন নির্গত হয়, যা বিষণ্নতা ও নিঃসঙ্গতা দূর করে।ভালো থাকে হৃদযন্ত্র। মানসিক চাপ কমায়, মেজাজ বাড়ায়, সম্পর্ক মজবুত করে। আলিঙ্গনের সময় প্রচুর পরিমাণে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ হয়। অক্সিটোসিনকে বিশেষজ্ঞরা কাডল হরমোন বলে থাকেন। এটি মানুষের মাংসপেশিকে শিথিল করে এবং শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে।মহিলাদের উপর এই হরমোনের প্রভাব রয়েছে সবচেয়ে বেশি। অক্সিটোসিন ব্লাড প্রেসারও কমায়, আলিঙ্গন ভয় ও কমায়। অ্যাংজাইটি কমাতে সাহায্য করে স্পর্শ। এটি অন্যজনকে কাছাকাছি আনে, ফলে ভয় অনেক বেশি দ্রুত কেটে যায়।আলিঙ্গন ব্যথা বা পেইন কমায় ।টাচ ট্রিটমেন্ট থেকে জানা যায়, আলিঙ্গন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের সঙ্গে স্পর্শের ফলে এমনটা হয়।আলিঙ্গন একে অপরের সঙ্গে কমিউনিকেট করতে সাহায্য করে।শুধু মুখের অঙ্গভঙ্গি ও ভাষা নয়, যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্পর্শও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আলিঙ্গনের স্পর্শ একজনের থেকে আরেকজনের কাছে গুরত্বপূর্ণ বার্তা প্রেরণ করে।অসুখ সারায়, কমায় মাসিক চাপ! দেখুন আলিঙ্গনের উপকারীতা
ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২৩
0
Tags
অন্যান্য অ্যাপে শেয়ার করুন