স্কাই বাংলা:আমলকী বা ইন্ডিয়ান গুজবেরির গুণ জানেন না এমন লোক খুব কম। এর আযুর্বেদ ও প্রাকৃতিক গুণ অপরিসীম। আমলকি একদিকে যেমন সহজলভ্য, তেমনি পুষ্টিগুণে ঠাসা ! ভিটামিন সি-এর ভাঁড়ার আমলকি ত্বক থেকে চুল সব কিছুর পক্ষে দারুণ উপকারী । স্বাস্থ্যরক্ষা ছাড়াও আমলকির আরও অনেক গুণ রয়েছে। রূপচর্চাতেও আমলকি যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বিপুল পুষ্টি গুণে সম্পন্ন আমলকি:
- আমলকি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এক গ্লাস লেবুর রসের থেকে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে এক গ্লাস আমলকির রসে। যা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। ত্বকের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে তাই আমলকির রসের দারুণ উপকার।
- প্রতিদিন আমলকির রস খেলে চুল ঘন কালো এবং লম্বা হয়।
- হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে আমলকির রসের জুড়ে মেলা ভার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন আমলকির রস খেলে তাতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টস হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক প্রভৃতি প্রতিরোধ করে।
- পিরিয়ডসের সময় অনেকেরই তলপেটে ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত আমলকির রস খেলে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।আমলকি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, ঘুম না হওয়া, ব্যথা-বেদনায় আমলকি।
কিভাবে খাবেন?
সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারেন। তবে রসের পরিমাণ ১০ মিলিগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। আবার আমলকি রোদে শুকিয়েও খেতে পারেন। আমলকি ছোট টুকরো করে কেটে তার উপর নুন ও গোলমরিচগুঁড়ো ছড়িয়ে রোদে শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।
কারা কারা আমলকি খাবেন না?- কোনও অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা থাকলেও আমলকি খাওয়া বন্ধ রাখতে পারেন। কারণ সেই একই। রক্ত বন্ধ না হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। অস্ত্রোপচারের পর রক্তপাত বন্ধ না হলে টিস্যু হাইপক্সেমিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
- অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যদানকারী মায়েরাও আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- আমলকির প্রভাবে অ্যালার্জিও হতে পারে। এ ছাড়াও পাকস্থলীর কৃমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা হতে পারে।
- এ ফল শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তাই বেশি পরিমাণে আমলকি খেলে জ্বর-সর্দি বা কাশি হতে পারে।





