বাঁকুড়ায় তৃণমূল নেতার বেআইনি কাঠকল ঘিরে দ্বন্দ্ব

Malay Singha
0



মলয় সিংহ বাঁকুড়া : এবার অবৈধ কাঠমিল চালানোর অভিযোগ উঠল বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেতার অবশ্য দাবি, দলেরই একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন। 


তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ জয়ন্ত দাসের কাঠমিল রয়েছে বেলিয়াতোড়ের ফুলবাড়ি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগে ওই কাঠমিলকে অবৈধ দাবি করে অভিযোগ জানান। অভিযোগকারীদের দাবি, রাতের অন্ধকারে সেখানে কাঠ পাচারও করা হয়। অন্যের জায়গা দখল করে কাঠ ব্যবসা করা হচ্ছে বলেও ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। 

জয়ন্ত অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ২০০৫ সাল থেকে ওই এলাকায় কাঠ মিল চালাচ্ছেন তিনি। প্রতি বছরই বন দফতরে নিয়ম মেনে মিলের লাইসেন্স নবীকরণ করান। অন্যের জমি দখল করে ব্যবসা করার অভিযোগও

অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে

ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বন দফতর

তদন্ত করতে চাইলে তিনি স্বাগত

জানিয়েছেন।

জয়ন্ত বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে।” এই ঘটনার জন্য দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করে তিনি বলেন, “দলেরই কিছু লোকজন বেলিয়াতোড় হাই স্কুলের জায়গা দখল করে ইট, বালি, সিমেন্ট, পাথরের ব্যবসা করছিলেন। আমি স্কুলের জায়গায় ব্যবসা করার বিরোধিতা করেছি। তাতেই ওঁরা আমার বদনাম করতে এ সব করছেন।”

দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে জয়ন্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এই দাবি মানেননি বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি কালীদাস মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “জয়ন্তর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠেছে বলে আমার জানা নেই। দলের কেউ ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বলেও শুনিনি। স্কুলের জমিতে এক ব্যক্তি নিজের বাড়ি নির্মাণের সামগ্রী সাময়িক ভাবে রেখেছিলেন। অনেক দিন আগেই ওই ব্যক্তি স্কুলের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন। 

অন্যদিকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক বিজেপি জেলা সভাপতি বিলেশ্বর সিনহা দাবি জঙ্গল লাগুয়ার প্রায় ২০০ মিটারের মধ্যে কোন কাঠ মিল থাকা বেআইনি। এটা নতুনত্ব কিছু নয়। এরা মাফিয়া।

 কিন্তু এখানে ব্লক সভাপতি এবং বিধায়কের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব হওয়ার কারণে এটা প্রকাশ্যে এসেছে। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা বনদপ্তর এর কাছে যাব , প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top