নেতাজির জন্মদিবস পালনের মঞ্চ থেকে স্লোগান মুখ্যমন্ত্রীর

SKY BANGLA TV
0

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মবার্ষিকীতে কলকাতায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সাইরেন এবং শঙ্খধ্বনির মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নেতাজির জন্মগ্রহণের মুহূর্তকে স্মরণ জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে শঙ্খ বাজান। তারপর মঞ্চে বক্তৃত্বা দিতে উঠে নেতাজির জয়গান করে তাঁকে স্বাধীনতা-পরবর্তী পরিকল্পনার বাহক বলেও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পরিকল্পনা কমিশন তুলে দেওয়া সহ আন্দামানে ‘শহিদ’ ও ‘স্বরাজ’ নামক দুটি দ্বীপ করা প্রসঙ্গে নাম না করে কেন্দ্রকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সুফল বাংলারও উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য একনজরে।



আমি গর্বিত ভারতীয়, নেতাজির জন্মভূমিতে বাস করি। আগামী দিনে লড়াইয়ে পথ দেখাবে জয় হিন্দ, বন্দে মা তরম, জয় বাংলা। নেতাজির জন্মদিবস উদযাপনের মঞ্চ থেকে এমনই স্লোগান তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নাম না করে কেন্দ্রকে তোপ দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চালাকির দ্বারা মহৎ কাজ হয় না।

আজ দেশ বড় অসহায়। বাংলা আমরা কোনরকমে সামলাচ্ছি। ৩৬৫ দিনে কিছু না কিছু মোকাবিলা করতে চাই। আমরা আন্দোলন থেকে, নবজাগরণের মাটি থেকে গড়ে ওঠা লোক বলে আমরা লড়তে পারি। অনেকে এজেন্সির ভয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু, আমি যাই না।

দেশের বিভিন্ন সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন, যা আছে নিয়ে যাও। কিন্তু, দেশটাকে বেচে দিও না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নিয়ম লঙ্ঘন করা মানে গণতান্ত্রকে উলঙ্ঘন করা।

কেন্দ্রের বাংলার প্রতি সৌজন্যমূলক আচরণ করা উচিত বলেও নাম না করে দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আমাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা, যিনি বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। বন্দে মা তরম গানও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু- সকলে বাংলার। যাঁদের এতকিছু আছে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে একটু সৌজন্য বোধ করতে হয়।

বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি আসা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন একটা আরশোলা কামড়ালেও কেন্দ্রীয় দল চলে আসে। কথায়-কথায় বাংলাকে হেনস্তা করে। তবে আমি ভয় করব না।

পরিকল্পনা কমিশন তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী পরিকল্পনাও নেতাজি করে গিয়েছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু পরিকল্পনা কমিশন করেছিলেন। আজ দুর্ভাগ্য, সেটা নেই। না আছে প্ল্যানিং, না আছে প্ল্যানিং কমিশন।

ভারতীয় সেনাবাহিনী তৈরি করেছিলেন নেতাজি। তাঁর জয় হিন্দ সারা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আমাদের অনেক প্রকল্পের নাম রয়েছে জয় হিন্দ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top