মলয় সিংহ, বাঁকুড়া: হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে গ্রামের একটি বাড়ির নির্দিষ্ট একটি জায়গায় মেঝের অংশ। সময় যত যাচ্ছে ততই মেঝের ওই অংশে বাড়ছে তাপমাত্রা। কারন বুঝতে না পেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল গ্রাম জুড়ে। ঘটনা বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের ভুইয়াপাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ভুইয়াপাড়া গ্রামের কাশীনাথ কুম্ভকার একতলা একটি বাড়িতে দুবছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। দিন তিনেক আগে হঠাৎই বাড়ির সিঁড়ির নীচে মেঝের অংশ গরম হতে শুরু করে। প্রথমে বিষয়টি তেমন আমল না দিলেও ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে বাড়ির মেঝের ওই অংশে। গতকাল সকালে পরিস্থিতি এমন হয় যে মেঝের ওই অংশে হাত দেওয়াও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এই ঘটনার সুনির্দিষ্ট কোনো কারন খুঁজে না পেয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কুম্ভকার পরিবারের মধ্যে। ঘটনার কথা জানাজানি হলে গ্রাম জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুলিশকে। গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করে খবর দেয় ব্লক স্তরে। বিষয়টির কারণ জানার জন্য ভূতত্ব গবেষকদের তলব করার দাবী জানান স্থানীয়রা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আস্বাস দিয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক জয়দেব চন্দ বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি। অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার কোনও নেই। আমরা ঘটনাস্থলে যাব। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে দেখার পরেই আসল কারণ বোঝা যাবে। আমাদের প্রাথমিক অনুমান মেঝের নীচের অংশে সিমেন্টের সঙ্গে কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে তাপ উৎপন্ন হয়ে থাকতে পারে।” বাঁকুড়া খ্রিষ্টান কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক সুব্রত পান বলেন, “পরীক্ষানিরিক্ষা না করে এর পিছনে কী কারণ, রয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। বিষয়টিকে পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত। একই সঙ্গে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।”