পিরিয়ড এর সময় মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করতে চলেছেন? মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো

SKY BANGLA TV
0

স্কাই বাংলা : পিরিয়ড এর সময়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ট্যাম্পনের পরিবর্তে ইদানীং অনেক মহিলাই ‘মেনস্ট্রুয়াল কাপ’ ব্যবহার করছেন। তবে দামে সস্তা ও পরিবেশবান্ধব হওয়া সত্ত্বেও ‘মেনস্ট্রুয়াল কাপ’-কে নিয়ে অনেকেরই আবার নানা ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে। এই কারণেই এর জনপ্রিয়তা ভারতীয় বাজারে চোখে পড়ার মতো নয়। ‘মেনস্ট্রুয়াল কাপ’ যোনির ভিতরে প্রবেশ করাতে হয়, তাই অল্পবয়সি ও অবিবাহিত মেয়েরা এই কাপ ব্যবহার করতে ভয় পান। কিন্তু এই কাপ যেমন সুরক্ষিত, তেমনই যে কোনও বয়সের মেয়েরাই এটি ব্যবহার করতে পারেন। এই কাপ বিভিন্ন সাইজের পাওয়া যায়, তাই যে কোনও বয়সের মহিলারাই এটা ব্যবহার করতে পারেন।মেনস্ট্রুয়াল কাপ স্যানিটারি ন্যাপকিন কিংবা ট্যাম্পন মতো রক্ত শুষে নেয় না, তবে ইনফেকশন আটকায়। এবং একটি মেনস্ট্রুয়াল কাপ বেশ কয়েক বছর ব্যবহার করা যায়। তবে এটা ব্যবহার করার আগে কয়েকটি জিনিস খেয়াল রাখুন।


ব্যবহারের নির্দেশ: এই কাপ ব্যবহার করার আগে ভালো করে সেটা ব্যবহারের নির্দেশ পড়ুন। কীভাবে এটা পরবেন, কীভাবে কাপ পরিষ্কার করবেন এবং রাখবেন।


ব্যবহারের আগে: মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করার আগে সেটাকে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত জলে কাপটিকে ৫-৬ মিনিট রেখে দিন। এতে জীবাণু নাশ হবে। ব্যবহার করার আগে যেমন এভাবে স্টেরেলাইজ করবেন তেমনই পিরিয়ড শেষ হয়ে গেলে একই ভাবে স্টেরেলাইজ করে রাখবেন। প্রতিমাসে এক জিনিস ফলো করুন।


কাপ পরা বা খোলার আগে: আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন, তারপর কাপ পরুন। একই ভাবে কাপ খোলার আগেও ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন সাবান দিয়ে। এতে জীবাণু নাশ হবে এবং ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকবে না।


কাপের সাইজ: বিভিন্ন ধরনের কাপ পাওয়া যায়, যেটা আপনার জন্য উপযোগী তেমন কাপ বাছুন আপনার ব্লাড ফ্লো, বয়স, মা হয়েছেন কিনা এসবের উপর ভিত্তি করে। এক একটা বয়সের জন্য এক এক রকমের মাপ আছে। মূলত তিন ধরনের সাইজের মেনস্ট্রুয়াল কাপ পাওয়া যায়, স্মল, মিডিয়াম এবং লার্জ। তাই কেনার আগে আপনার বয়স দেখে কাপ কিনবেন।


কাপ কীভাবে পরবেন: বিভিন্ন উপায়ে কাপটিকে ভাঁজ করে পরা যায়। কিন্তু সব থেকে সহজ উপায় হল কাপটিকে সি আকারে ভাঁজ করে সেটাকে পরুন। প্রয়োজন হাঁটু ভাঁজ করে বসুন বা একটু কাত হয়ে যান। এতে কাপ পরতে সুবিধা হবে। আবার যখন মনে হবে যে কাপ ভরে গেছে একই উপায়ে বসে কাপটিকে ধীরে ধীরে টেনে বের করুন।


যোনিতে সংক্রমণের আশঙ্কা: অনেকের ধারণা ‘মেনস্ট্রুয়াল কাপ’ এর কারণে যোনিতে সংক্রমণের ঝুঁকি প্রায় থাকে না বললেই চলে। এ ক্ষেত্রে কোনও জ্বালা ভাব অনুভূত হয় না। বরং স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলে যোনির চারপাশে র‍্যাশ বেরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। দীর্ঘ ক্ষণ একই প্যাড ব্যবহার করলে যোনিতে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। এতে জরায়ু-মুখের ক্যানসারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। প্যাডের তুলনায় ‘মেনস্ট্রুয়াল কাপ’ ব্যবহার করা কিন্তু অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।


প্রস্রাবের সময়ে অস্বস্তি হয়: এই ধরনের কাপ এমন ভাবেই বানানো হয় যাতে সেটি শক্ত হয়ে যোনির ভিতরে আটকে থাকে। তাই মলমূত্র ত্যাগ করার সময়ে তা খুলে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। কাপ ভিতরে আটকে যেতে পারে বলে আবার ভয় পান অনেকে। কিন্তু ভয়ের কোনও কারণ নেই। আঙুলের সাহায্যে সহজেই এই কাপ বার করে আনা যেতে পারে। তবে হাত যেন পরিষ্কার থাকে সে বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। নখে যেন ময়লা না থাকে সে দিকটাও মাথায় রাখতে হবে।


কুমারীত্ব হারানোর আশঙ্কা: কুমারীত্ব হারানোর কথা ভেবে অল্পবয়সি মেয়েরা এই কাপ ব্যবহার করতে দ্বিধা করেন। সাইক্লিং, শরীরচর্চা ও আরও নানা কারণেই কিন্তু হাইমেন ছিঁড়ে যেতে পারে। কিন্তু ‘মেনস্ট্রুয়াল কাপ’ ব্যবহার করার সঙ্গে কুমারীত্ব হারানোর কোনও সম্পর্ক নেই।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top